নাসার পুরস্কার অর্জন বুয়েটের। নেতৃত্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২০ এ অনারেবল মেনশন তালিকায় ১৫০টি দেশের সেরা ৩৮০০ প্রকল্পের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক পার্থ চক্রবর্তীর টিম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বুয়েট জেনিথ’।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২০ এই প্রতিযোগিতা মূলত নাসার প্রকৃতিকে আরো ভালোভাবে জানার একটা প্রচেষ্টা। এই প্রতিযোগিতায় মূলত নাসার রকেটগুলো যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়, তার ওপর ভিত্তি করেই নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতা থেকে যে সমাধানগুলো আসে, সেগুলো নাসা তাদের রকেটে ব্যবহার করে থাকে এবং নাসার তথ্য ব্যবহার করে সামাজিকমাধ্যমে মানুষের সঙ্গে কৃত্রিম উপগ্রহের সংযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করাই তাদের প্রকল্পের লক্ষ্য। মহাকাশে কোন কৃত্রিম উপগ্রহ কোথায় অবস্থান করছে– এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে খুব সহজে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়াই হলো তাদের প্রকল্পের মূল কাজ।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পার্থ চক্রবর্তী ‘বুয়েট জেনিথ’-এর সাথের প্রশিক্ষণ সময় বা পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে বলেন, এরকম ইভেন্টে বাংলাদেশসহ ১৫০টির অধিক দেশ অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে প্রতিযোগীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নাসার বিভিন্ন ডাটাসেট ব্যাবহার করে অ্যাপস এর মাধ্যমে প্রোপোজাল বা আইডিয়া সাবমিট করতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকে দুইশোর অধিক টিম প্রোপোজাল সাবমিট করে। এরপর সেখান থেকে আমরা বিচারকরা বাছাই করে ৪০টা টিম নির্বাচন করি লোকাল জাজমেন্ট এর জন্য। তারপর তাদের বিভিন্ন পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে গাইড বা মেন্টরিং করা হয়। এবার একেকজন শিক্ষকের অধীনে ৪/৫ টা করে টিম ছিল। সেই হিসেবে আমার গাইডে কুবি, বুয়েটসহ আরো দুটি টিম ছিল। তার মধ্যে বুয়েটের ‘বুয়েট জেনিথ’ এর অর্জনে আমি তাদের একজন প্রশিক্ষক হিসেবে বেশ আনন্দ বোধ করছি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন টিম পৃথিবী এবং মহাকাশে বাস্তব বিশ্বের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য নাসার উন্মুক্ত ডেটা নিয়ে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২০ ইভেন্টটি আয়োজন করা হয়েছিল।
0 coment rios: