সর্বশেষ

 নির্যাতিত নিশি আক্তারের সমস্ত খরচ বহনের দায়িত্ব নিলেন এক অনন্য পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান পিপিএম (সেবা)

নির্যাতিত নিশি আক্তারের সমস্ত খরচ বহনের দায়িত্ব নিলেন এক অনন্য পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান পিপিএম (সেবা)

 নির্যাতিত নিশি আক্তারের সমস্ত খরচ বহনের দায়িত্ব নিলেন এক অনন্য পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান পিপিএম (সেবা)



সেই নির্যাতিত মেয়েটির বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজাবাড়িয়া গ্রামের দরিদ্র শারীরিক প্রতিবন্ধী মজিবুর রহমানের মেয়ে নিশি আক্তার।
ঘটে যাওয়া
শিশু নিশির উপর নির্যাতনকারী ব্যাংক কর্মকর্তার দম্পতি সহ ৪ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
ময়মনসিংহের নান্দাইলের রাজাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী মজিবুরের ৮ বছরের শিশু কন্যা নিলিকে দরিদ্রতার কারণে বাসায় কাজের জন্য বিগত তিন বছর পূর্বে প্রভাবশালী অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা গৃহকর্মীর কাজের জন্য ঢাকায় নিয়ে যায় প্রভাবশালী পরিবার। টানা তিন বছর আটকে রেখে প্রভাবশালী অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা মিজান ও তার স্ত্রী মুন্নী মেয়েটিকে হাতপা বেঁধে লাঠি পেটা,গরম খুন্তি দিয়ে চেকা দেয় এবং গরম পানি ঢেলে সারাদেহ ঝলসে দেয়। এতে অবুঝ শিশুটির দেহ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। শিশুর শারীরিক অবস্থা খুব বিপদ জনক দেখে আজ বিকেলে পাটৃগুদাম ব্রীজ মোড়ে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা এদেরকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিযাতনকারী মুন্নী ও স্বামী মিজানসহ ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সূত্র জানায় এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানা মামলার প্রস্ততি চলছে। জানাগেছে অত্যাচারীদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে,থাকেন ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায়।
আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন বন্ধ হবেনা। যেভাবে রেজিষ্ট্রেশন করবেন।

আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন বন্ধ হবেনা। যেভাবে রেজিষ্ট্রেশন করবেন।

 ৩০ জুনের মধ্যে দেশে গ্রাহকের হাতে থাকা সব চালু হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।



অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্ত করতে দেশে মোবাইল যাচাই কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হচ্ছে। আগামী ১ জুলাই থেকে এ প্রক্রিয়াটি শুরু হবে। তবে গ্রাহকের হাতে থাকা মোবাইল বন্ধ হবে না, ৩০ জুনের মধ্যে দেশে গ্রাহকের হাতে থাকা সব চালু হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। যদিও নতুন করে কেনার ক্ষেত্রে যাচাই করে কিনতে হবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সংস্থাটি জানিয়েছে, গ্রাহকরা যেসব মোবাইলফোন ব্যবহার করছেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে সেগুলো। এছাড়া, ১ জুলাই থেকে যেসব নতুন হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে, তার মধ্যে কোনোটি অবৈধ হয়ে থাকলে গ্রাহককে জানিয়ে তিন মাস সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।  

এর আগে, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ফোন অবৈধ কিনা তা যাচাই করতে “ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার” (এনইআইআর) নামের এ ব্যবস্থা চালু ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।  গত নভেম্বর প্রযুক্তিগত সমাধান পেতে সংস্থাটি সিনেসিস আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলম জানান, আগামী ১ জুলাই থেকে আগামী তিন মাস পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবস্থাটি চালানো হবে। এ কার্যক্রম চালু হলে অবৈধ সেট শনাক্ত করা যাবে। ফলে চুরি করা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। এতে সরকারের রাজস্ব ও নিরাপত্তা বাড়বে বলেও জানান তিনি

জেনে নিন নিবন্ধনের নিয়ম

বিটিআরসি জানিয়েছে, ১ জুলাই থেকে এনইআইআরের কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হলে গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও সিম নম্বরের সঙ্গে ব্যবহৃত মোবাইলের আইএমইআই সম্পৃক্ত করে নিবন্ধন করা হবে। ১ জুলাই থেকে নতুন যেসব মুঠোফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে, তা প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল করে এনইআইআরের মাধ্যমে বৈধতা যাচাই করা হবে। বৈধ হলে মুঠোফোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে নেটওয়ার্কে সচল থাকবে।

যেসব ফোন বৈধ নয়, সেগুলো সম্পর্কে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। এরপর পরীক্ষাকালীন তিন মাসের জন্য নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। এরপর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া  ১ জুলাই থেকে যেকোনো মাধ্যম (বিক্রয়কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) থেকে ফোন কেনার আগে অবশ্যই এর বৈধতা যাচাই ও রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে। বৈধ কি না তা যাচাইয়ের পদ্ধতি হলো মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। তবে ফিরতি এসএমএসে এর বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বিদেশ থেকে আনা ফোন হলে

বিটিআরসি জানিয়েছে, বিদেশ থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে। এরপর ১০ দিনের মধ্যে অনলাইনে তথ্য বা দলিল জমা দিয়ে নিবন্ধন করার জন্য ব্যবহারকারীকে এসএমএস পাঠানো হবে। নিবন্ধন সম্পন্ন করলে ফোনটি বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। নিবন্ধন না করলে তা বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে না এবং সেগুলো সম্পর্কে গ্রাহককে এসএমসের মাধ্যমে জানিয়ে পরীক্ষাকালীন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। এরপর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিবন্ধনের পদ্ধতি

neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। Special Registration সেকশনে গিয়ে মুঠোফোনের আইএমইআই নম্বরটি দিন। প্রয়োজনীয় নথির ছবি বা স্ক্যান করা অনুলিপি (যেমন পাসপোর্টের ভিসা বা ইমিগ্রেশনের তথ্যাদি, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করুন ও সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। এরপরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে মোবাইল।

তবে বৈধ না হলে এসএমএস দিয়ে পরীক্ষাকালীন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। পরীক্ষামূলক সময় শেষ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবাকেন্দ্র বা কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের গিয়েও এ–বিষয়ক সেবা নেওয়া যাবে।

বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে শুল্কবিহীন সর্বোচ্চ দুটি ও শুল্ক দিয়ে আরও ছয়টি মুঠোফোন সেট সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেন।

যাচাই করুন মোবাইলের বর্তমান অবস্থা

গ্রাহকরা এখন যেসব ফোন ব্যবহার করছেন, তার বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে পারবেন। মুঠোফোন থেকে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করতে হবে।পর্দায় ভেসে ওঠা Status Check অপশন বাছাই করুন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি বক্স আসবে, যেখানে মুঠোফোন সেটের ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি লিখে পাঠাতে হবে। এরপর হ্যাঁ বা না অপশনসংবলিত একটি অটোমেটিক বক্স এলে হ্যাঁ বাছাই করে নিশ্চিত করুন। এরপরে এসএমএসের মাধ্যমে হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।

বিটিআরসি বলছে, এনইআইআর সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে জানার ক্ষেত্রে সংস্থাটির হেল্প ডেস্ক নম্বর ১০০ অথবা মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১–এ ডায়াল করে এবং অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে জানা যাবে। তবে এসব ব্যবস্থা চালু হবে ৩০ জুনের পর।

নাসার পুরস্কার অর্জন বুয়েটের।

নাসার পুরস্কার অর্জন বুয়েটের।

 নাসার পুরস্কার অর্জন বুয়েটের। নেতৃত্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক


নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২০ এ অনারেবল মেনশন তালিকায় ১৫০টি দেশের সেরা ৩৮০০ প্রকল্পের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক পার্থ চক্রবর্তীর টিম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বুয়েট জেনিথ’।





নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২০ এই প্রতিযোগিতা মূলত নাসার প্রকৃতিকে আরো ভালোভাবে জানার একটা প্রচেষ্টা। এই প্রতিযোগিতায় মূলত নাসার রকেটগুলো যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়, তার ওপর ভিত্তি করেই নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতা থেকে যে সমাধানগুলো আসে, সেগুলো নাসা তাদের রকেটে ব্যবহার করে থাকে এবং নাসার তথ্য ব্যবহার করে সামাজিকমাধ্যমে মানুষের সঙ্গে কৃত্রিম উপগ্রহের সংযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করাই তাদের প্রকল্পের লক্ষ্য। মহাকাশে কোন কৃত্রিম উপগ্রহ কোথায় অবস্থান করছে– এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে খুব সহজে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়াই হলো তাদের প্রকল্পের মূল কাজ।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পার্থ চক্রবর্তী ‘বুয়েট জেনিথ’-এর সাথের প্রশিক্ষণ সময় বা পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে বলেন, এরকম ইভেন্টে বাংলাদেশসহ ১৫০টির অধিক দেশ অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে প্রতিযোগীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নাসার বিভিন্ন ডাটাসেট ব্যাবহার করে অ্যাপস এর মাধ্যমে প্রোপোজাল বা আইডিয়া সাবমিট করতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকে দুইশোর অধিক টিম প্রোপোজাল সাবমিট করে। এরপর সেখান থেকে আমরা বিচারকরা বাছাই করে ৪০টা টিম নির্বাচন করি লোকাল জাজমেন্ট এর জন্য। তারপর তাদের বিভিন্ন পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে গাইড বা মেন্টরিং করা হয়। এবার একেকজন শিক্ষকের অধীনে ৪/৫ টা করে টিম ছিল। সেই হিসেবে আমার গাইডে কুবি, বুয়েটসহ আরো দুটি টিম ছিল। তার মধ্যে বুয়েটের ‘বুয়েট জেনিথ’ এর অর্জনে আমি তাদের একজন প্রশিক্ষক হিসেবে বেশ আনন্দ বোধ করছি।


উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন টিম পৃথিবী এবং মহাকাশে বাস্তব বিশ্বের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য নাসার উন্মুক্ত ডেটা নিয়ে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২০ ইভেন্টটি আয়োজন করা হয়েছিল।



পাহাড় ও শান্তি বাহিনী।  অজানা গল্প

পাহাড় ও শান্তি বাহিনী। অজানা গল্প

 পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও শান্তি বাহিনী। 



পাহাড়ে যদি আপনি শান্তিতে থাকতে চান, তাহলে আপনাকে 'শান্তিবাহিনী'র কথা মেনে নিতে হবে। আর তাদেরকে ট্যাক্স দিতে হবে।

.
যদি তাদের বিরুদ্ধাচরণ করতে চান, তাহলে আপনার শান্তি নষ্ট করার দায়িত্ব তারা খুব যত্নের সাথে পালন করবে। বেশী শান্তি চাইলে শান্তির ঘুম পাড়িয়ে দেবে।


.
আমরা পাহাড়ে ঘুরতে যাই, ঘুরেটুরে ছবি তুলে চলে আসি। কিন্তু পাহাড়ের চিত্র আমাদের চোখে পড়েনা। শত শত গাছ কেটে পাহাড় সাফ করে ফেলার চিত্র আমরা দেখিনা। স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে কথা বলে কখনো তাদের দুঃখ বুঝার চেষ্টা করিনা।
.
বুঝলেও সেটুকু বুঝি, যতটুকু শান্তিবাহিনীর প্রধানদের টাকায় ফ্ল্যাট কেনা বুদ্ধিজীবী আর সাংবাদিকরা আমাদেরকে বুঝায়। আমরা ভাবি যে, আহা! আমরা তাদের উপর কতই না নির্যাতন চালাচ্ছি।


.
অথচ পাহাড়ে থাকলে আপনার তাদেরকে ট্যাক্স দিতে হবে। আপনার বাড়ীর ট্যাক্স দিতে হবে। আপনার যদি জমি থাকে, সেটার ট্যাক্স দিতে হবে। আবার সেই জমিতে যদি চাষ করেন, তার জন্যও ট্যাক্স দিতে হবে।
.
বছরে দুইবার করে জমির উপর ট্যাক্স দিতে হয় বাঙালীদের। ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা করবেন? গাড়ী এবং প্রতি চালানের উপর আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে। অষুধ কোম্পানী গুলোকে পর্যন্ত সেখানে ট্যাক্স দিতে হয়।
.
সেখানকার উপজাতিরা থানায় বিচার দিতে আসেনা। তাহলে 'সেটেলারদের কাছে যাওয়ার অপরাধে' তাদের শাস্তি হবে। যদি অনুমতি পাওয়া যায় থানায় যাওয়ার, তাহলেই আসতে পারে কেবল। তাদের চাওয়া মত চাঁদা না দিলেও আপনাকে খুন করা হবে।


পাহাড়ী এই সন্ত্রাসীরা চায় না সেখানে রোড হোক। সেখানে উন্নয়ন হোক, মানুষজন যাক। ভাবছেন পরিবেশ নষ্ট হবে এজন্য বিরোধিতা করে? যারা গাছ কাটে, পাহাড় পুড়িয়ে ফেলে তারা পরিবেশের চিন্তা করে? সেরকম কিছুই না।
.
পাহাড়ে পর্যটন হলে, উন্নয়ন হলে সাধারণ পাহাড়ীদের লাভ। কিন্তু এতে সন্ত্রাসীদের প্রভাব, দৌরাত্ম কমে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই সন্ত্রাসীরা এটা চায় না। এজন্য তারা পোস্টার সাঁটিয়ে দেয়, পাহাড়ে পর্যটন বন্ধ করতে হবে।
.
পাহাড়কে তারা নিজেদের সম্পদ মনে করে সেটা নতুন কিছু নয়। বাঙালীদেরকে তারা বলে সেটেলার। নিজেদেরকে দাবী করে আদিবাসী।
.
আপনারা খেয়াল করেছেন কিনা জানিনা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরই হঠাৎ করে উপজাতি টার্ম থেকে আদিবাসী টার্ম ব্যবহার শুরু হয়। অনেকে বুঝে না বুঝে আদিবাসী টার্মটা ব্যবহার করেন। আদিবাসী অর্থ ঐ এলাকার আদিবাসিন্দা। উপজাতিদের মধ্যে বাংলাদেশের সত্যিকারের আদিবাসী হচ্ছে রাখাইন, সাঁওতাল এরা।
.
যারা নিজেদেরকে আদিবাসী দাবী করছে এদের পূর্বপুরুষরা মাত্র দেড়-দুইশ বছর আগে মিয়ানমার আর ভারত থেকে পালিয়ে এই দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। মিয়ানমারের বর্মী রাজার হাত থেকে বাঁচতে তারা পালিয়ে এদিকে চলে আসে। এর বহু আগে থেকেই পাহাড়ে বাঙালী থাকতো। তবে ওদের মত গহীনে থাকতো না।
.
তারা গহীনে থাকার পেছনে তখনকার কারণ ছিল দুটি।
এক: যারা বর্মী রাজার হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছিল।
এরা এত গহীন এবং দূর্গম পাহাড়ে চলে গিয়েছিল, যাতে বর্মী রাজা তাদের খুঁজে না পায়।
.
বার্মিজরা জাতিগতভাবে সহিংস। আমাদের রাখাইনদেরও উপরও তারা গণহত্যা চালিয়েছিল। প্রাণ বাঁচাতে তারা এদেশে চলে এসেছিল।
তেমনি ভাবে অনেক গুলো গোষ্ঠী একেবারে গহীনে চলে যায়। সেখানেই বসবাস শুরু করে।
.
দুই: দস্যু। আমরা বইপত্রে যাদের মগজলদস্যু বলে পড়েছি। এরা জলে যেমন ডাকাতি করত, স্থলেও ডাকাতি, লুটতরাজ করত।
ডাকাতির জিনিষপত্র নিয়ে তারা একেবারে গহীনে দূর্গম পাহাড়ের ভেতর চলে যেত। লুটের জিনিষপত্র এখানেই লুকিয়ে রাখত।
.
শাসকরা আর খুঁজে পেত না তাদের।
যাই হোক, তারা এখন আদিবাসী হয়ে গেছে সমস্যা নাই। দলে দলে তারা খ্রিস্টান হয়ে যাচ্ছে, তাও সমস্যা নাই। সমস্যা হচ্ছে- মুসলমান হলেই।
.
পাহাড়ে আপনি যাই হোন, মুসলমান হতে পারবেন না। হয়ে গেলে আপনাকে খুন করা হবে। আপনি শহরের দিকে পালিয়ে গেলে খুঁজে বের করে খুন করা হবে। তাদের সেই পরিমাণ টাকা এবং রিসোর্স আছে।
.
কিন্তু তারা খ্রিস্টানদের সাথে লাগতে যায় না। এর কারণ হচ্ছে, তাদের আল্টিমেট লক্ষ্য হচ্ছে জুম্মল্যান্ড নামক আলাদা দেশ প্রতিষ্ঠা। সেক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল যে সাপোর্ট দরকার, খ্রিস্টানদের মারতে গেলে তারা সেটা পাবে না। আর খ্রিস্টানদেরকে তারা খুব একটা সমস্যা বলেও মনে করেনা। তাদের সমস্যা হচ্ছে বাঙালী আর মুসলমান।
.
পাহাড়ে বেড়ে উঠা একটা বাঙালী শিশুও জানে তাদের কত ক্ষমতা সেখানে৷ এই কারণে চাকমা একটা ছেলে তাকে থাপ্পড় মারলেও সে তার প্রতিবাদ করেনা। এমনকি কখনো যদি পিতাকে গিয়ে বিচার দেয়, তার পিতা তাকে চুপ থাকতে শিখিয়ে দেন। সেখানে তাদের সামান্য বিরোধিতা করলেও টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠবে।
.
আপনি মুসলমান হলে হত্যা করা হবে, সমস্যা নাই। খুব একটা প্রতিবাদ হবে না। কিন্তু আপনি মুসলিম হয়েছেন এটা প্রচার করা হলে 'পাহাড়ী সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে' বলে চিৎকার করে উঠবে পুরা ঢাকা। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
.
খ্রিস্টান হয়ে গেলে অবশ্য পাহাড়ী সংস্কৃতি সবুজই থাকে।
পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা শান্তিবাহিনী নামে আর নেই, তারা এখন নাম বদলেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হয়েছে সন্তু লারমার জেএসএস।
.
তারা একই সঙ্গে ঢাকার ফেভারও পায়, রাষ্ট্রীয় অতিথি হয় আবার পাহাড়ে নির্বিঘ্নে চাঁদাবাজি আর খুন রাহাজানি করে।
১৯৮৪ সালের ৩০ মে এক ভোরে সারারাত নিরস্ত্র বাঙালীদের উপর হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ৪০০ এর বেশী মানুষের একটা গ্রামকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়৷ ধরে ধরে জবাই করা হয়েছিল বাঙালীদের।
.
গুলি করে মারা হয়েছিল।
২০১৫ সালে সম্ভবত, দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় মাটিরাঙা বাজারে এক ব্যবসায়ীকে দিন দুপুরে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
.
তখন আমি সেখানে।
পাহাড়ে সাধারণ পাহাড়ী এবং বাঙালীদের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী নিয়োগ দেয়া হয়েছিল সেখানে। এতে পাহাড় কিছুটা শান্ত ছিল। যদিও সেনা সদস্যদেরও প্রায় হত্যা করা হত।
.
২০১০ এর পর শান্তিবাহিনীর সাথে শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে বেশীরভাগ সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডের এমন আরো কিছু ঘটনা নীচে উল্লেখ করা হলো। হয়তো পড়বেন না। কিন্তু ডকুমেন্টস হিসেবে উল্লেখ করলাম। পড়লে একটা ভালো ধারণা পাবেন।
.
ঘটনাক্রম :
(১৯৭৭-) : পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি ও সেনা হত্যা
৬ মে ১৯৭৭ : সাঙ্গু নদীতে কর্তব্যরত অবস্থায় আবদুল কাদিরসহ পাঁচ সেনাসদস্যকে হত্যা।
.
২৫ অক্টোবর ১৯৭৭ : বান্দরবানে নিহত হন নায়েক আবদুল গণি মিয়া, নায়েক আবদুস সাত্তার, নায়েক আরিফ, সিপাহী লুৎফর রহমান, সিপাহী আলী হোসেন এবং সিপাহী আবদুল খালেক মুন্সি।
.
২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ : সাঙ্গু নদীতে অ্যামবুশ, এক সেনাসদস্যকে হত্যা এবং প্রচুর গোলাবারুদ লুট।
৫ জুলাই ১৯৭৯ : কাপ্তাই নতুন বাজার থেকে ২ জন আনসার সদস্যকে অপহরণ করে হত্যা।
.
১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ : দীঘিনালায় নায়েক এসএম রুহুল আমিনকে হত্যা।
১৪ অক্টোবর ১৯৭৯ : খাগড়াছড়িতে পাঁচ সেনাসদস্যকে হত্যা।
.
১৯ ডিসেম্বর ১৯৭৯, লংগদু : একই রাতে একযোগে কয়েকটি গ্রামে হামলা, ২০ অ-উপজাতীয়কে হত্যা, আহত ৪০, ১০৪টি বাড়ি অগ্নিদগ্ধ।
২৩ জানুয়ারি ১৯৮০ : খাগড়াছড়িতে তিন সেনাসদস্য খুন, আহত ৫।
.
২১ এপ্রিল ১৯৮০ : ফালাউংপাড়া নামের একটি স্থানে অ্যামবুশ করে ১১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ২০ জন জওয়ানকে হত্যা, প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র লুট।
১ মার্চ ১৯৮০ : ঘন্টিছড়া নামের একটি স্থানে অ্যামবুশ করে হত্যা করা হয় মেজর মহসিন আলমসহ ২২ জন সেনাসদস্যকে।
.
২৫ মার্চ ১৯৮০, কাউখালী : বাঙালি বসতিতে হামলা, দুই পক্ষে নিহত ২৯, আহত ১১ জন।
১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮০, কাউখালী, বেতছড়ি ও কচুখালী : আকস্মিক আক্রমণে ৬ বাঙালি খুন, আহত ২৫ জন।
২৯ এপ্রিল ১৯৮৪ : খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় বাঙালি বসতিতে গণহত্যা। হতাহতের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়নি।
.
৩১ মে ১৯৮৪, বরকল : দিবাগত রাতে বাঙালি বসতিতে হামলা, ৮৮ জনকে গুলি করে হত্যা, আহত ৩৩ এবং ১৮ জন অপহৃত। আগুনে পুড়ে ছাই ২৬৪টি বাড়ি।
১৯ জুলাই ১৯৮৬ : খাগড়াছড়িতে এক সেনাসদস্য নিহত, আহত ৭।
.
২২ জুলাই ১৯৮৬, দীঘিনালা : সশস্ত্র হামলায় ২৪ বাঙালি খুন, ৩২ জনকে অপহরণ।
৭ আগস্ট ১৯৮৬ : ২ জন আনসার সদস্যকে অপহরণ করে হত্যা।
২১ জুন ১৯৮৭ : নাড়াইছড়ির অদূরে অ্যামবুশ, সেনাসদস্য আবদুর রাজ্জাক, ইসমাঈল হোসেন ও মোহনলালকে হত্যা।
.
২৪ নভেম্বর ১৯৮৭ : শিলছড়িতে দুই সেনাসদস্যকে গুলি করে হত্যা।
১৮ এপ্রিল ১৯৮৯, বাশখালী : পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে ১৫ জনের মৃত্যু।
২৭ জানুয়ারি ১৯৮৯ : বন কর্মকর্তা আবুল হোসেন, বজল আহমদ ও মাহবুবুল আলমকে অপহরণ করে হত্যা।
.
৪ মে ১৯৮৯, লংগদু : আকস্মিক আক্রমণে ১৫ বাঙালির মৃত্যু।
১৬ এপ্রিল ১৯৯০, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বলিপাড়া : ১৯ বাঙালিকে গুলি করে হত্যা। এ বছরই থানচিতে ১১ জন সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়।
১০ জানুয়ারি ১৯৯২, খিরাম : খিরাম বন কার্যালয়ে আক্রমণ, ৬ কর্মচারীকে হত্যা।
.
২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২, লংগদু : চলন্ত লঞ্চে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ১৭ বাঙালিকে হত্যা।
২৯ জুন ১৯৯২ : মহালছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কে পাহারা চৌকির ওপর হামলা, দুজন সেনা সদস্য নিহত।
১৪ জুন ১৯৯৫ : শান্তিবাহিনীর ২০ সদস্যের একটি গ্রুপের হাতে ব্যাংক লুট। গার্ডকে হত্যা এবং দুই ব্যাংক কর্মচারীকে অপহরণ।
.
৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬, পাকুয়াখালী (রাঙামাটি) : নৃশংস হামলা চালিয়ে ৩৫ জন বাঙালী কাঠুরিয়াকে হত্যা। আমাদের সেনাবাহিনীকে তারা বলে জলপাই সন্ত্রাসী। বাঙালীদের বলে সেটেলার। এমনকি কোনো উপজাতি ইসলাম গ্রহণ করলে তাকেও সেটেলার বলে গালি দেয়।
.
সর্বশেষ দুই দিন আগে ইসলাম গ্রহণের অপরাধে বান্দরবনের রোয়াংছড়িতে ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করে সন্তু লারমার জন সংহতি সমিতি - জেএসএস। ইসলাম ত্যাগ করার জন্য তাকে অনেকদিন ধরেই তারা আল্টিমেটাম দিয়ে রেখেছিল।
.
পাহাড়ে নিরীহ মানুষরা মারা যায়, রাষ্ট্রদোহী সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়। আমরা না বুঝে শুধু তাদের পারপাসই সার্ভ করি।
পাহাড়ে শুধু ঘুরতে যাবেন না, সুশীলরা যা বলে তাতে বিশ্বাস করবেন না। পাহাড় সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখেন। না হয় একসময় পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্যও ভিসা লাগবে।

- লিখেছেনঃ তাহমিদুল ইসলাম 

বাংলাদেশের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 বাংলাদেশের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


 বাংলাদেশের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার টিকার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত আছে। আমাদের যদি টিকা উৎপাদন চেইনে নেয়া হয়, আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে সহায়তা দিতে পারবো।’
বুধবার (২৩ জুন) তিন দিনব্যাপী নবম মস্কো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশ

কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশ

 


কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘চার বছরের বেশি সময় ধরে জোরপূর্বক বিতাড়িত ১ দশমিক ১ মিলিয়নের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিয়ে আসছি আমরা। 


বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য

বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য

 বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য 


বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য ও বজ্রপাতে মৃত্যু 
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার বলে আখ্যায়িত করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন এর মাধ্যমে বৃটিশরা আসলে এদেশের সব গোপন তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়।

তবে আসল ঘটনা হচ্ছে- এদেশে বৃটিশদের শাসনের সময়কালে সীমানা পিলার গুলো ফ্রিকুয়েন্সি অনুযায়ী একটি থেকে আরেকটির দুরত্ব মেপে মাটির নীচে পুতে রাখা হয়েছিলো। যেগুলোর মধ্যে পিতল, তামা, লোহা, টাইটেনিয়াম সহ ধাতব চুম্বক সমন্বয়ে গঠিত হওয়ার কারনে বজ্রপাত হবার সময়ে ইলেকট্রিক চার্য তৈরী হয় সেটি সরাসরি এই পিলার গুলো শোষন করে আর্থিং এর কাজ করতো। এতে করে বজ্রপাত হতো কিন্তু মানুষ মারা যেতোনা।

অসাধু কিছু লোক এই পিলার গুলো অনেক দামে বিক্রি করা যায় এরকম গুজব ছড়ায়। এ কারনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিলারগুলো নিষ্চিন্ন হয়ে গেছে। কিছু লোক এগুলোকে মহা-মুল্যবান বলে অপপ্রচার করে খুঁজে বের করে চুরি করে নিয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে কেউ ই সীমানা পিলার বিক্রি করে বহু টাকা উপার্জন করার উদাহরণ দেখাতে পারেনি ।

সীমান্ত পিলার গুলোর মধ্যে থাকা তামা, পিতল, টাইটেনিয়াম জাতীয় ধাতবের সমন্বয়ে তৈরী বলে এগুলো বিদ্যুত সু-পরিবাহি হয়ওয়াতে একে মহা মুল্যবান বলে অপপ্রচারের ফলে এসব পিলার চুরি হতে থাকে।

বৃটিশ শাসন আমলে বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য এই প্রযুক্তির পিলার গুলো সারা দেশ জুড়ে মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট দুরত্ব পর পর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে মেপে।( এবং এ পিলারের রেডিও ইলেট্রনিক্স তরঙ্গের সাহায্যে ভূমি জরিপ ও ম্যাপ প্রস্তুতে করতে এবং এটি বিমান চলাচলেও সহযোগিতা করত সে সময় ) এখন যেমন মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর সময় একটা থেকে আরেকটার দুরত্ব আর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে ম্যাপ করে বসানো হয় ।



আগেকার আমলে বজ্রপাতে নিহত হবার সংখ্যা ছিল অনেক কম যেটি এখন এতটা বেড়ে গেছে যে, মানুষ রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গেছে । এখন নিশ্চই সবাই বুঝতে পারছেন কেন বৃটিশ আমলে এগুলো মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিলো।

বজ্রপাতে মৃত্যু রোধকল্পে সরকারকে বৃটিশদের মতো করে পিলার স্থাপনের উদ্দোগ আবার গ্রহণ করা উচিত বলেও মতামত দিচ্ছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।